Constitution

       

গঠনতন্ত্র


১। এই সংগঠনের নামঃ “ময়মনসিংহ ছাত্র কল্যাণ পরিষদ, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়”  নামে অভিহিত হবে।


২। সংজ্ঞাঃ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে  অধ্যয়নরত ময়মনসিংহ ও শেরপুর জেলার শিক্ষার্থীদের সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক সংগঠন


৩। মূলনীতিঃ এই সংগঠনের মূলনীতি হবে “শিক্ষা, বন্ধন ও সমৃদ্ধি” 


৪। এই সংগঠনের রেজিস্টার্ড অফিসঃ বর্তমানে অস্থায়ী হবে। তবে সংগঠনের পরিচালনা পরিষদের অনুমোদনক্রমে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের  আশেপাশে যে কোন স্থানে এর শাখা অফিস সহ রেজিস্টার্ড অফিস স্থানান্তর করা যাবে।


৫।প্রতীক চিহ্নঃ বৃত্তাকার জমিনের উপর বামে মশাল, ডানে বই ও তাদের নিচে সমৃদ্ধি চিহ্নিত প্রতিক এবং গোলাকার অংশ জুড়ে লেখা থাকবে " MYMENSINGH STUDENTS' WELFARE ASSOCIATION, COMILLA UNIVERSITY” 


৬। সংগঠনের স্লোগানঃ   " ব্রহ্মপুত্রের টানে, বাজুক গান প্রাণে প্রাণে"


৭। সংগঠনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যঃ 

(ক) এই সংগঠনের সকল শিক্ষার্থীদের মধ্যে সুসম্পর্ক স্থাপন।

 (খ) কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের সার্বিক দিক দিয়ে সাহায্য ও সহযোগীতা করা।

 (গ) চাহিদা অনুযায়ী অসচ্ছল ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের এককালীন উপবৃত্তি প্রদান।       

 (ঘ) জাতীয় দিবস সমূহ পালন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বার্ষিক বনভোজন, বার্ষিক স্মরনিকা প্রকাশ, ইফতার মাহফিল ও ঈদ পূর্ণমিলনী।


৮। অর্থায়নঃ সংগঠনের আয়ের উৎস নিম্নরূপ হবেঃ-

  সদস্যদের মাসিক চাঁদা, এককালীন চাঁদা।

 

৯। আয় ও অর্থায়ন ব্যবহারঃ  সংগঠনের আয় উহার উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে ব্যয় করা হবে। উহার আয় সদস্যদের মধ্যে লাভ বা বোনাস আকারে বন্টন করা যাবে না।


১০। সদস্যঃ  সোসাইটি সদস্য দুই ধরনের থাকবে।

( ক) স্থায়ী সদস্য

 (খ) সাধারণ সদস্য


১১। স্থায়ী সদস্য হওয়ার নিয়মাবলীঃ  

এই সংগঠনের সাধারণ সদস্য সাবেক হওয়ার পর থেকে স্থায়ী সদস্য হিসাবে বিবেচিত হবে।

স্থায়ী সদস্য হতে হলে সাধারণ সদস্য ১২(ক)(খ) অনুসরন করতে হবে।


১২। সাধারণ সদস্য হওয়ার নিয়মাবলীঃ

 (ক) এই সংগঠনের গঠনতন্ত্রে বর্ণিত লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যসমূহের সাথে একমত পোষন কারী, জীবনে উন্নত চারিত্রিক ও নৈতিক গুন সম্পন্ন এবং পরিচালনা পরিষদের দৃষ্টিতে গ্রহনযোগ্য যেকোন ব্যক্তি এই সংগঠনের সাধারণ সদস্য হতে পারবেন।

 (খ) সাধারণ সদস্য পদের আবেদনপত্র সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুর করবেন।

(গ) সাধারণ সদস্য হতে হলে ১০০ টাকা মূল্যের সদস্য ফরম পূরণ করতে হবে।  

(গ) প্রত্যেক সাধারণ সদস্যকে সংগঠনের নির্ধারিত মাসিক চাঁদা প্রদান করতে হবে।


১৩। স্থায়ী সদস্য ও সাধারণ সদস্য পদ বহাল থাকার শর্তঃ   সংগঠনের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য ও কর্মসূচির সাথে যতক্ষণ

ঐক্যমত পোষণ করবেন ততক্ষণ পর্যন্ত তার স্থায়ী ও সাধারণ সদস্য পদ বহাল থাকবে। 


১৪। সদস্যদের মাসিক চাঁদাঃ ৫০ টাকা। 


১৫। কার্যনিবার্হী সংসদঃ সংগঠনের একটি কার্যনির্বাহী সংসদ থাকবে যা “কার্যনির্বাহী সংসদ" নামে অভিহিত হবে। কার্যনির্বাহী সংসদের প্রত্যেক সদস্য অবশ্যই  কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত অবস্থায় থাকতে হবে। 

অনিবার্য কারণ ব্যতিত পর পর তিন মিটিং এ অনুপস্থিত ব্যক্তিগণ সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদের জন্য প্রার্থী হতে পারবে না । 


১৬। কার্যনির্বাহী সংসদ গঠনঃ

সংগঠনের স্থায়ী এবং সাধারণ সদস্যদের সর্বসম্মতিক্রমে ৬৪ সদস্য বিশিষ্ট কার্যনির্বাহী সংসদ গঠিত হবে। যা নিম্নরূপঃ-


সভাপতি                                                         ১ জন।

সহ-সভাপতি                                               ১০ জন।

সাধারণ সম্পাদক                                          ১ জন।

যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক                                ৮ জন।

সাংগঠনিক সম্পাদক                                ১০ জন।

অর্থ সম্পাদক                                               ১ জন।

উপ-অর্থ সম্পাদক                                      ১ জন।

দপ্তর সম্পাদক                                             ১ জন।

উপ-দপ্তর সম্পাদক                                    ১ জন।

প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক                      ১ জন।

উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক               ১ জন।

শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক                         ১ জন।

উপ-শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক                ১ জন।

সাংস্কৃতিক সম্পাদক                                    ১ জন।

উপ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক                            ১ জন।

ক্রিড়া সম্পাদক                                            ১ জন।

উপ-ক্রিড়া সম্পাদক                                    ১ জন।

আপ্যায়ন সম্পাদক                                     ১ জন। 

উপ-আপ্যায়ন সম্পাদক                             ১ জন।

সমাজসেবা সম্পাদক                                  ১ জন।

উপ-সমাজসেবা সম্পাদক                         ১ জন।

তথ্য ও গবেষনা সম্পাদক                           ১ জন।

উপ-তথ্য ও গবেষনা সম্পাদক                   ১ জন।

ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক                                ১ জন।

উপ-ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক                        ১ জন।

ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক                                   ১ জন।

 উপ-ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক                          ১ জন।

স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক                                 ১ জন।

উপ-স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক                        ১ জন।

কার্যকরী সদস্য                                           ১০ জন।

মোটঃ ৬৪ জন।


১৭। শূন্যপদ পূরণঃ   পরিচালনা পরিষদের কোন পদ শূন্য হলে উক্ত পরিষদের মতামতের ভিত্তিতে সংগঠনের আদর্শ ও লক্ষ্য উদ্দেশ্যের প্রতি আস্থাশীল যে কোন সদস্য ব্যক্তিকে শূন্য পদে পরিচালনা পরিষদে অন্তর্ভুক্ত করতে পারবেন।


১৮। মেয়াদ কালঃ   পরিচালনা পরিষদের মেয়াদকাল অনূর্ধ্ব ১(এক) বছর হবে। ১ বছর অতিক্রম করার পর ১ মাসের মধ্যে নতুন পরিচালনা পরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমের গঠন করে সকল দায়িত্ব হস্তান্তর করবে।

সভাপতি ও  সাধারণ সম্পাদক এক মেয়াদের জন্য নির্বাচিত হবে। দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হওয়ার জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবে না। 



১৯। সভাপতি ও সহ-সভাপতির দায়িত্বঃ

সভাপতি সংগঠনের প্রধান বলে বিবেচিত হবেন। তিনি বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন এবং সকল সদস্যদের প্রয়োজনীয় নির্দেশ ও উপদেশ দেবেন।

সিনিয়র সহ-সভাপতি, সভাপতির অনুপস্থিতিতে সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন।

২০। সাধারণ সম্পাদক ও যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক, সদস্যবৃন্দের দায়িত্বঃ

সাধারণ সম্পাদক সংগঠনের প্রশাসনিক প্রধান বলে বিবেচিত হবেন। তিনি পরিচালনা পরিষদের পরামর্শক্রমে যে কোন বৈঠকের নোটিশ ইস্যু করবেন এবং উক্ত বৈঠকের কার্যবিবরণী সংরক্ষণ করবেন। তাছাড়া পরিচালনা পরিষদের সিদ্ধান্তক্রমে অন্যান্য দায়িত্ব পালন করেন।

১ম যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক, সাধারণ সম্পাদকের অনুপস্থিতিতে পরিচালনা পরিষদ কর্তৃক তার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করবেন।

সদস্যবৃন্দঃ পরিচালনা পরিষদের সদস্য বৃন্দ পরিচালনা পরিষদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক যাবতীয় কার্যাবলীতে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করবেন।


২১। বার্ষিক সাধারণ সভাঃ

( ক) প্রতি পঞ্জিকা বছরে একবার বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হবে। উক্ত সাধারণ সভা জন্য কমপক্ষে ১৪(চৌদ্দ) দিন পূর্বে নোটিশ দিতে হবে।

 (খ) বার্ষিক সাধারণ সভায় সংগঠনের কাজের বার্ষিক প্রতিবেদন, অডিট রিপোর্ট, বার্ষিক বাজেট পেশ ও অনুমোদন করা হবে।

 (গ) বার্ষিক সাধারণ সভায় সদস্যদের দুই-তৃতীয়াংশের উপস্থিতিতে সভার কোরাম হবে। উল্লেখ্য যে, কোরাম নির্ণয়ের ক্ষেত্রে ভগ্নাংশকে এক বলে গণ্য করা হবে।


২২। সাধারণ পরিষদের বৈঠকের নোটিশ ও কোরামঃ 

(ক) সাধারণ পরিষদের বৈঠকের নোটিশ অন্তত ১৫ দিন পূর্বে এবং উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের নোটিশ অন্তত            ৩ দিন পূর্বে প্রদান করতে হবে।

(খ) উপদেষ্টা পরিষদের সভা যথাক্রমে দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের উপস্থিতিতে কোরাম হবে। তবে কোরামের অভাবে

(গ) কোন সভা মূলতবী হলে, পরবর্তীতে বৈঠকের জন্য কোন কোরামের প্রয়োজন হবে না।


২৩। ব্যাংক অ্যাকাউন্টঃ

 (ক) সংগঠনের নামে জনতা ব্যাংক, কুবি শাখাতে একটি যৌথ একাউন্ট থাকবে। 

 (খ) সংগঠনের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট পরিচালনা পরিষদের দায়িত্বে চলমান সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক থেকে একজন, উপদেষ্টা মন্ডলী থেকে একজন ও অর্থ বিষয়ক সম্পাদক থাকবে।    




২৪। উপদেষ্টা পরিষদঃ

 (ক) কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত ময়মনসিংহ ও শেরপুর জেলার শিক্ষক,  সদ্য বিদায়ী সভাপতি ও সাধারণ   সম্পাদক মোট  ৫ জন উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব লাভ করবে।

 (খ) প্রারম্ভিক উপদেষ্টা ছাড়া নতুন উপদেষ্টা যদি প্রয়োজন হয় তবে নির্বাহী সংসদ কর্তৃক বিল পাস করতে হবে।

 (গ) উপদেষ্টা পরিষদ নির্বাহী সংসদকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করবে।


২৫। হিসাব নিরীক্ষণঃ   পরিচালনা পরিষদ সংগঠনের হিসাব নিরীক্ষার জন্য দুই জন সদস্যকে নিরীক্ষক নিয়োগ করবেন। তিনি বছরে একবার হিসাব নিরীক্ষণ করে পরিষদের কাছে পেশ করবেন। নিরীক্ষককে সকল প্রকার সহযোগিতা করিবেন অর্থ ও উপ-অর্থ বিষয়ক সম্পাদক।


২৬। গঠনতন্ত্র সংশোধনঃ   সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে উপস্থিত সদস্যদের তিন-পঞ্চমাংশের ভোটে গঠনতন্ত্র সংশোধন করা যাবে।


২৭। বহিস্কারঃ   যদি কোন সদস্য পরিষদের বিশ্বাস, লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও নীতিমালার পরিপন্থী কোন কাজ করেন তবে কার্যনির্বাহী পরিষদের  সুপারিশে তাকে বহিস্কার করতে পারবেন।

--সমাপ্ত--